
কক্সবাজার: কক্সবাজারে ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলার আসামি বাবু পুলিশ হেফাজতে।
মামলায় নাম উল্লেখ করা চার আসামি হলেন আশিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ শফি ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, মেহেদী হাসান বাবু ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। সবশেষ বাবুসহ চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কক্সবাজারে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার আসামি মেহেদী হাসান বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
শহরের ঘোনারপাড়ার পাহাড়ী এলাকা থেকে সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের অভিযান চালিয়ে বাবুকে গ্রেপ্তার করে। তাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কক্সবাজারে গত ২২ ডিসেম্বর স্বামী ও সন্তানকে জিম্মি করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এরপর এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখ ও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলায় নাম উল্লেখ করা চার আসামি হলেন কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ শফি ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, মেহেদী হাসান বাবু ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।
সবশেষ বাবুসহ চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর বাইরে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই নারীর ভাষ্য অনুযায়ী স্বামী-সন্তান নিয়ে ২২ ডিসেম্বর সকালে তারা কক্সবাজার পৌঁছান। এরপর শহরের হলিডে মোড়ের সি ল্যান্ড হোটেলের ২০১ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। বিকেলে সৈকতে গেলে সাড়ে ৫টার দিকে তার স্বামীর সঙ্গে এক যুবকের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
এর জের ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার কিছু পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। আর তাকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় জোর করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
ওই নারীর অভিযোগ, তাকে শহরের একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে প্রথমে তিনজন ধর্ষণ করেন। তারপর নেয়া হয় হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে। সেখানে আবারও তাকে ধর্ষণ করেন একজন।
অবশ্য ওই নারীর অভিযোগের সঙ্গে দেয়া তার স্বামীর বক্তব্যে অনেকাংশে অমিল পাওয়া গেছে। স্বামী বলেছেন, জীবিকার তাগিদে ঘটনার অনেক আগে থেকেই কক্সবাজারে অবস্থান করছিলেন তারা।