
ঢাকা : আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশজুড়ে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী কমপক্ষে ৬০ থেকে ৬৫ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনতে চায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
টিকার সমন্বয়ক জানান, ৬ জানুয়ারির মধ্যে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আর টিকা না পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা সিভিল সার্জনের কাছে দেয়ার পরই বড় পরিসরে শুরু হবে কার্যক্রম।
দেশে করোনা নতুন ধরণ ওমিক্রন শনাক্ত হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনই বন্ধ করার পরিকল্পনা নেই সরকারের। বরং শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় টিকা দেয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
সারাদেশের মত মঙ্গলবারও রাজধানীর ১০ কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হয়। ঢাকা মহানগরীতে দৈনিক ২৫ হাজারের বেশি টিকা দেয়া হচ্ছে। যারা নিবন্ধন করতে পারেনি তারও পাচ্ছেন টিকা।
মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, ১২-১৮ বছর বয়সী শিশুদের যারা এখনো টিকা পায়নি তাদের ৭ জানুয়ারির মধ্যে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যুক্ত করে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
মাউশি বলেছে, ৬ জানুয়ারির মধ্যে যেসব শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন নেই এবং যাদের ১৬ ডিজিটের নিবন্ধন নম্বর, তাদের আবার নিবন্ধন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের জানাতে হবে।
এরপর করোনার টিকার জন্য যোগ্য সব শিক্ষার্থীর প্রতিষ্ঠানভিত্তিক তালিকা ৭ জানুয়ারির মধ্যে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানোর বিষয়টি জেলা শিক্ষা প্রশাসন নিশ্চিত করবে।
আর, ৮ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে টিকা দেওয়ার দিনে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা নিশ্চিত করবেন।
মহামারীর দেড় বছর পেরিয়ে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর গেল পহেলা নভেম্বর ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল দিয়ে ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচির সূচনা হয়।
এই শিশুদের ফাইজার টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকার দশ কেন্দ্রে একযোগে চলে টিকা দেয়া। এখন শুরু হবে সারাদেশে। এখন পর্যন্ত ৩৭ লাখের বেশি শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছে।