
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছে কাজাখ সরকার।
মঙ্গলবার থেকে এলপিজির নতুন মূল্য বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সেই প্রতিবাদ সহিংস হয়ে ওঠে।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছে কাজাখস্তানের সরকার।
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোকার্ট তোকায়েভ তার সরকারের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
এর আগে প্রেসিডেন্ট জোকায়েভ দেশটির বিভিন্ন জায়গায় সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে দুই সপ্তাহের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কারফিউ কার্যকর থাকবে। এ সময় সাধারণ মানুষের চলাফেরার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ থাকবে। যে কোনো ধরনের লোকসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে এলপিজির নতুন মূল্য বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেই প্রতিবাদ সহিংস হয়ে ওঠে।
পরবর্তী সময়ে সরকার এলপিজির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিলেও দেশটির জনগণ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখে।
মঙ্গলবার পশ্চিম কাজাখস্তানের মানজিসতাও শহরে প্রায় ৫ হাজার মানুষ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে র্যালির আয়োজন করে। পুলিশ সেখানে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
এ সময় র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেয়। এ সময় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে দেশটির সরকার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়।
কাজাখস্তানের যানবাহনের প্রধান জ্বালানি হিসেবে এলপিজি ব্যবহার করা হয়। এলপিজির দাম বৃদ্ধি খাবারের দাম ও ভোগ্যপণ্যের দামেও প্রভাব ফেলে।
অনেক কাজাখও তাদের ব্যক্তিগত গাড়িতে গ্যাসোলিনের বদলে এলপিজি ব্যবহার করে। কারণ এলপিজি তুলনামূলক সস্তা।