সহজ কৌশল ভুঁড়ি কমান

Thursday, January 6th, 2022

ফিচার ডেস্ক: পেটের ভুঁড়ি নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। শরীরের তুলনায় পেটে দ্রুত মেদ জমতে শুরু করে। নতুন বছরের অনেকেই অনেক কিছু পরিবর্তনের সংকল্প নিয়ে থাকেন। ভুঁড়ি কমানো এই তালিকায় প্রথমের দিকেই থাকবে। কিন্তু ভাবা যতটা সহজ, করা ততটাই কঠিন। রইল নতুন বছরে ভুঁড়ি কমানোর ঘরোয়া কিছু টোটকা।

পানি পান করুন বেশি করে। অবাক শোনালেও স্বাস্থ্য রক্ষা ও ওজন কমাতে পানি পানের বিকল্প নেই। শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখা পেটের ভুঁড়ি ঝরাতেও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

পানির সঙ্গে সঙ্গে, গ্রিন টি, লাল চা, দুধ ছাড়া কফি বা ফলের রসও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। পানি দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে আর অসময়ে অস্বাস্থ্যকর খাবারের থেকে আপনাকে দূরে রাখে।

সাধারণত মদ্যপান, মিষ্টিজাতীয় খাবার অতিরিক্ত গ্রহণ, ডুবো তেলে ভাজা খাবার, কোমল পানীয়, অস্বাস্থ্যকর বাইরের খাবার, নিয়মিত লাল মাংস (রেড মিট) খাওয়া, স্যাচুরেটেড চর্বি গ্রহণ ইত্যাদি পেটের ভুঁড়ি বাড়িয়ে তোলার পেছনে ভূমিকা রাখে।

অতিরিক্ত মিষ্টি খাবেন না। মিষ্টান্ন বা ডেসার্টে থাকে অসম্পৃক্ত তেল এবং প্রচুর পরিমাণে চিনি। চিনি আমাদের শরীরে থেকে যায় অনেক বেশি সময় ধরে এবং ওজন কমতে দেয়ে না। এরই মধ্যে পরে কার্বনেটেড পানীয়ও।

প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান। প্রোটিন হজম হতে সময় লাগে, তাই অসময়ে খিদে পায় না এবং একই সঙ্গে শরীরকে দেয় তেজ ও শক্তি। মাছ, মাংস, ডিমের বাইরে প্রোটিন থাকে ডাল, কাঠবাদাম, সবুজ সবজি এবং ওটসে।

অতিরিক্ত পেটের ভুঁড়ি কমানোর জন্য অবশ্যই ফাইবার গ্রহণ বাড়িয়ে নিতে পারেন। বেশি দ্রবণীয় ফাইবার খেলে তা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য তৃপ্ত রাখে এবং উচ্চ ফ্যাটযুক্ত খাবারের প্রতি আপনার আগ্রহ কমিয়ে আনে।

লবণের পরিমাণ কমান। এই কাজটি বেশ শক্ত হলেও খুব কার্যকর। লবণের সোডিয়াম থেকে হয় ব্লোটিং, বা পেট ফুলে যাওয়া। আর তাতে কমে যায় শরীরের বিপাকীয় গতি যার জন্য ভুড়ি কমানো হয়ে ওঠে কষ্টকর।

অতিরিক্ত চিন্তা ও কম উদ্যোগের ফলেও কোমরের চারপাশে বা পেটে মেদ জমতে পারে। তাই ভুঁড়ি কমাতে অবশ্যই চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করতে হবে।

অনেকেই খাবার খাওয়ার পর বসে থাকেন বা শুয়ে পড়েন। তাদের খাবার সঠিকভাবে পরিপাক হয় না, ফলে পেটে চর্বি জমতে থাকে। সে জন্য খাবার খাওয়ার পর একটানা শুয়ে-বসে না থেকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা উচিত।

যাদের সারাদিন টেবিল–চেয়ারে বসে কাজ করতে হয়, তাদের পেটে সহজে মেদ জমে যায়। ভুঁড়ি গোল হতে শুরু করে। তাই তাঁদের উচিত ৩০-৪০ মিনিট বসে কাজ করার পর উঠে ১০-১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা।

সময় আনুযায়ী খান এবং যথেষ্ট ঘুমান। শরীরচর্চা করায় এটাই প্রথম পদক্ষেপ। অসময়ে খেলে, বিশেষ করে রাতে, ভালো ভাবে হজম হয়ে না খাবার আর তাতে বাড়ে ভুড়ি। ভালো করে, যথেষ্ঠ ঘুম সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি।

অ্যালকোহল পান করলে পেটে চর্বি জমে এবং কোমরের লাইনের চারপাশে ফ্যাট স্টোরেজ বাড়তে পারে। বেশিরভাগ অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়তে অতিরিক্ত চিনি থাকে, যা দ্রুত ওজন বাড়িয়ে তোলে। অতিরিক্ত ক্যালোরি পেটের অঞ্চলে জমা হয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

সকালে এক দুই টুকরো কাঁচা রসুনের কোয়া খান। এই অভ্যাসের ফলে দ্রুত আপনার ওজন কমবে আর পেটের মেদ ঝরবে। কাঁচা রসুন শরীরের রক্তপ্রবাহ সহজ করে। পেটে ভুঁড়ি জমতে দেয় না।

সকাল শুরু করুন এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করে। এতে শরীরের হজমপ্রক্রিয়া ভালো থাকবে এবং শরীরে মেদ জমার প্রক্রিয়া ধীর হবে।