
বিনোদন ডেস্ক: জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ আরও লেখেন, ‘অনেক বিশ্বাস নিয়ে সংবাদমাধ্যমের বন্ধুদের কাছে অনুরোধ করছি, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার স্বার্থে দয়া করে আমার ব্যক্তিগত ছবি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন না। আপনাদের প্রিয়জনের সঙ্গে হলে তো আপনারা এমনটা করতেন না। আশা করছি সত্যিটা সামনে আসবে এবং বিচার হবে। ধন্যবাদ।’
বহুল আলোচিত ২০০ কোটি রুপি প্রতারণা মামলায় মূল অভিযুক্ত সুকেশের সঙ্গে জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের আরেকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে।
তা নিয়েই এবার মিডিয়া ও নেটিজেনদের বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি নোট পোস্ট করেছেন শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত এই বলিউড অভিনেত্রী।
তিনি লেখেন, ‘এই দেশ এবং এখানকার মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসা আর সম্মান দিয়েছে। এখানকার বন্ধু ও সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকেও আমি অনেক ভালোবাসা, সম্মান পেয়েছি। অনেক কিছু শিখেছি তাদের থেকে। এই মুহূর্তে আমি খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। জানি আমার বন্ধুরা ও অনুরাগীরা জানেন এই পরিস্থিতি থেকে আমি ঠিক বেরিয়ে আসব।
‘অনেক বিশ্বাস নিয়ে সংবাদমাধ্যমের বন্ধুদের কাছে অনুরোধ করছি, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার স্বার্থে দয়া করে আমার ব্যক্তিগত ছবি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন না। আপনাদের প্রিয়জনের সঙ্গে হলে তো আপনারা এমনটা করতেন না, আমি নিশ্চিত আমার সঙ্গেও এটি করবেন না। আশা করছি সত্যিটা সামনে আসবে এবং বিচার হবে। ধন্যবাদ।’
এর আগের ‘প্রতারক’ সুকেশের সঙ্গে জ্যাকলিনের একাধিক ঘনিষ্ঠ ছবি প্রকাশ হয়েছে। সে সময় থেকেই তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।
তবে সুকেশের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলে মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু অভিযুক্ত সুকেশের আইনজীবীর দাবি, জ্যাকলিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সুকেশের।
ব্যক্তিগত মুহূর্তের আরেকটি ছবি ভাইরাল, বিশেষ অনুরোধ জ্যাকলিনের
বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ।
সম্প্রতি নতুন আরেকটি ছবি ভাইরাল হতেই জ্যাকলিনের সঙ্গে সুকেশের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয়েছে ফের চর্চা।
এদিকে গত ডিসেম্বরে এই মামলায় দিল্লির আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে দেশটির অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এতে নাম রয়েছে জ্যাকলিনের।
ইডির অভিযোগপত্রে বলা হয়, জ্যাকলিনকে ১০ কোটি রুপির উপহার পাঠিয়েছেন সুকেশ।
এই উপহারের তালিকায় রয়েছে গয়না, মাটির পাত্র, চারটি পার্সিয়ান বিড়াল (এর মধ্যে একটির মূল্য ৯ লাখ রুপি) এবং ৫২ লাখ রুপি মূল্যের ঘোড়া।
চেন্নাইয়ের বাসিন্দা সুকেশের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দিল্লির এক ব্যবসায়ী। তার অভিযোগ, এক বছরে তার কাছ থেকে ২০০ কোটি রুপি আত্মসাৎ করেছে সুকেশ।