
বিনোদন ডেস্ক : গত ৪ জানুয়ারি দীর্ঘ দিনের প্রেমিক সনি পোদ্দারের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন লাক্স তারকা অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। তিন দিন পর শুক্রবার শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লায় ছিল তাঁর বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। সেখানে যেতে বাহন হিসেবে মিম বেছে নেন হেলিকপ্টার। শুক্রবার সকালেই ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার উড়াল দেয় কুমিল্লার উদ্দেশে। কুমিল্লা শহরের ঈদগাহতে হেলিকপ্টার অবতরণ করে। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে শহরের বাড়িতে পৌঁছান।
মিম জানান, শ্বশুরবাড়ির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাব, আর তা স্মরণীয় করে রাখব না, তা তো হতে পারে না। স্মরণীয় করে রাখতেই হেলিকপ্টারে চড়ে গিয়েছি। পেশাগতজীবনে দেশের নানা প্রান্তে হেলিকপ্টারে চড়ে গিয়েছি। কিন্তু এবারের যাওয়ার অনুভূতি ছিল ভিন্ন রকম। যাওয়ার পর কত ধরনের মানুষকে মিট করেছি, বলে বোঝাতে পারব না। খুব চমৎকার একটা দিন পার করেছি। অসাধারণ অভিজ্ঞতা নিয়ে ঢাকায় ফিরেছযা মিম বলেন, শ্বশুরবাড়িতে হেলিকপ্টার যাত্রায় তাঁর সঙ্গী ছিলেন তাঁর বাবা অধ্যাপক বীরেন্দ্রনাথ সাহা, মা ছবি সাহা, একমাত্র ছোট বোন প্রজ্ঞা সিনহা, মামা, মামাতো বোন ও ফটোগ্রাফার।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে হয়েছে বিদ্যা সিনহা মিম বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। তার স্বামী একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। নাম সনি পোদ্দার। এদিন বিকেলেই বিয়ের কিছু ছবি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছিলেন মিম। আর ক্যাপশনে লেখেন, ‘শুভক্ষণ, শুভ দিন। বহু বছরের দীর্ঘ প্রণয়ের পর সাত পাকে বাঁধা পড়লাম আমরা। জীবনের নতুন অধ্যায়ের জন্য সব ভক্ত, শুভানুধ্যায়ীর কাছে শুভ কামনা প্রার্থী।’ এর আগে সোমবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় মিমের গায়েহলুদ। সেখানে বরকনে দুজনেই হাজির ছিলেন।
পরদিন মঙ্গলবার শাঁখা সিঁদুর পরে নতুন জীবনে পা রাখেন মিম। সনাতন ধর্মরীতি মেনেই বিয়ে হয় তার। যেখানে শোবিজের একাধিক পরিচালক, শিল্পী ও দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে উপস্থিত হন। বিয়ের পরদিন ফেসবুক হ্যান্ডেলে গায়েহলুদের ছবি প্রকাশ করেন মিম। ছবিগুলো পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘ফুল, স্নিগ্ধতা এবং গায়েহলুদ।’
উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর জন্মদিনে বাগদান সারেন মিম। তিনি বিয়ে করেছেন কুমিল্লার ছেলে সনি পোদ্দারকে। যিনি পেশায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। তখন মিম জানিয়েছিলেন, তাদের ছয় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। একটা সময় দুই পরিবারের সদস্যদের এ সম্পর্কের কথা জানানো হয়। দুই পরিবারই শুরু থেকে তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে ইতিবাচক ছিল। তাই পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।