
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফের পরীক্ষামূলক হাইপারসনিক মিসাইল ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর সময় দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন সেটি প্রত্যক্ষ করেছে বলে জানিয়েছে পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি কেসিএনএ জানিয়েছে, মঙ্গলবার নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূরের একটি লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হেনেছে। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি বছরের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা হিসেবে হাইপারসনিক মিসাইল নিক্ষেপ করে। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই দেশটি দ্বিতীয়বারের মতো শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার কথা জানাল। নতুন বছর উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে পিয়ংইয়ংয়ের প্রতিরক্ষা শক্তি আরও জোরদারের ঘোষণা দিয়েছিলেন কিম জং উন।
মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি পার্শ্ববর্তী জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া শনাক্ত করেছিল। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যালিস্টিক মিসাইল হতে পারে বলে ধারণা করেছিল দেশ দুটি।
রাশিয়া, চীন, আমেরিকার মতো রাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই হাইপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে। কয়েকটি সফল পরীক্ষাও হয়েছে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার মতো অর্থকষ্টে জর্জরিত দেশ কীভাবে একের পর এক এমন পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে বহু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
কিম জং উন অবশ্য জানিয়েছেন, দেশকে রক্ষা করার জন্য এ ধরনের আরও অস্ত্র উত্তর কোরিয়া তৈরি করবে। আত্মরক্ষার অধিকার তাদের আছে। যদিও একের পর এক পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়ার উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অ্যামেরিকাসহ একাধিক দেশ। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাও জারি আছে। কার্যত অর্থনৈতিক ব্লকেড তৈরি করা হয়েছে সেখানে।
বুধবার দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার একের পর এক অস্ত্র পরীক্ষার জন্য কোরিয়া পেনিনসুলায় শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চকে হস্তক্ষেপের অনুরোধও জানানো হয়েছিল। বস্তুত, জাতিসংঘ এবং অ্যামেরিকাও উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র পরীক্ষার তীব্র বিরোধিতা করেছে। তার পরই বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম এই দাবি করল।