নর্থ সাউথের ট্রাস্টি রেহেনা ও বেনজীরকে ফের দুদকে তলব

Wednesday, January 19th, 2022

ঢাকা: অনিয়ম ও দুর্নীতি অনুসন্ধানে দেশের খ্যাতনামা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টি সদস্য রেহেনা রহমান ও বেনজীর আহমেদকে আবারো তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের একটি সূত্র বুধবার জানায়, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দ্বিতীয়বারের মতো তলব করেছে সংস্থাটি। আগামী ২৪ জানুয়ারি তাদের দুজনকে দুদক প্র্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়।

এর আগে গত ডিসেম্বরে এক তলবি চিঠিতে তাদের আগামী গত ৪ জানুয়ারি দুদক প্রধান কার্যালয়ে এসে বক্তব্য দিতে বলা হয়। এই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড ট্রাস্টির সদস্যরা দুদকের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করেন।

দুদকের পাঠানো নোটিশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টির সংশ্লিষ্ট সদস্যরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, এফডিআর করার নামে প্রতিষ্ঠানের অর্থ লোপাট, স্ত্রী স্বজনদের চাকরি দেওয়ার নামে

অনৈতিকভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া, সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে গাড়ি ক্রয় ও অবৈধভাবে বিলাসবহুল বাড়ির ব্যবহার এবং বিভিন্ন অনৈতিক সুযোগ সুবিধা গ্রহণের আড়ালে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

তলবি নোটিশে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগের বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টির চার সদস্যকে তলব করেছে দুদক। তারা হলেন মোহাম্মদ শাহজাহান, এম এ কাশেম, আজিম উদ্দিন ও আজিজ আল কায়সার টিটো।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্রে যাবতীয় অনুলিপি চাওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ২০১০ থেকে আজ পর্যন্ত জমি ক্রয়সংক্রান্ত চাহিদাপত্র, উল্লিখিত জমি কেনার বিপরীতে বরাদ্দ করা ব্যাংক চেক ও পে-অর্ডারের ছায়ালিপিও চাওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ট্রাস্টি ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং এম এ কাশেম সিন্ডিকেটের দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় দুদক।