
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সমুদ্রে অগ্ন্যুৎপাতের পর সুনামির জেরে দ্বীপ রাষ্ট্র টোঙ্গায় এখন পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজন।
ম্যাঙ্গো, ফনোইফুয়া ও নামুকা দ্বীপপুঞ্জে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে ত্রাণসহ অন্যান্য সহায়তা দিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির নৌবাহিনী ও স্বাস্থ্য সহায়তায় নিয়োজিত কর্মীরা।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়া ছোট ছোট দ্বীপগুলো থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের হাপাই দ্বীপপুঞ্জে সরানো শুরু হয়েছে।
এদিকে টোঙ্গায় জরুরি ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও চীন। দ্বীপ রাষ্ট্রটির ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে টোঙ্গানদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন টোঙ্গায় নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার পিটার লুন্ড। তবে দক্ষিণ মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশটিতে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার পর্যবেক্ষণকারী বিমানগুলোর প্রতিবেদনের পাশাপাশি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য ও ছবিতে সুনামির ক্ষয়ক্ষতির চিত্র উঠে আসছে। দুর্যোগের পর নিখোঁজ থাকা এক ব্রিটিশ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
টোঙ্গায় ১৭০টির বেশি দ্বীপ রয়েছে। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ। তবে রেডক্রস বলছে, যতটা আশঙ্কা করা হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি ততটা হয়নি।
স্থানীয় সময় গত শুক্রবার টোঙ্গায় পানির নিচে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ হয়। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।