নায়িকা শিমু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অবৈধ সম্পর্ক!

Thursday, January 20th, 2022

বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু ‘নিখোঁজের’ পর তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী নোবেল ও নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে আটক করে র‍্যাব।

এদিকে শিমুর হত্যাকাণ্ডের পেছনে অবৈধ সম্পর্কের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। শিমুর হত্যাকারী তার স্বামী নোবেল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক থাকার দাবি করেছেন। স্ত্রীকে পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে হত্যাকাণ্ডের পথ বেছে নেয় বলে দাবি করেছেন নোবেল।জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তাদের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। শিমুর সঙ্গে যার সম্পর্কের কথা বলছেন নোবেল তাকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে তার সঙ্গে পুলিশ এখনো কথা বলতে পারেনি।

পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, নোবেল দাবি করেছেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে খুব একটা সংকট হয়নি। কিন্তু বেশ কিছুদিন হলো অন্য একজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে পড়েছেন শিমু। সে পথ থেকে তাকে ফেরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

শিমুর বোন ফাতেমা নিশা গণমাধ্যমকে বলেন, নোবেল ভাই ও শিমু আপুর মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। তিনি বলেন, সংসারের সমস্যার কথা আমাদের তেমন বোলত না। নোবেল ভাই বেকার থাকলেও গ্রিন রোডের ওই ভবনের তিনটি ফ্ল্যাট তার ছিল। একটি আপুকে লিখে দিয়েছে। তারা দুজনে মিলেই সংসার চালাতো। কখনো আর্থিক সমস্যায় পরেছে এমন শুনি নাই। নোবেল ভাইও কখনো আমাদের কাছে টাকা পয়সা দাবি করে নাই। নোবেল ভাই অনেক আগে থেকেই নেশা করতেন। গ্রিন রোডের বাসার আন্ডার গ্রাউন্ডে তার আলাদা রুম ছিল। সেখানেই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন, নেশা করতেন। এ বিষয়টি সবার জানা ছিল।

শিমুর স্বজনরা জানান, নোবেল ভালোবেসে ১৮ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন শিমুকে। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে (১৬) ও লেভেলে পড়েন। আর ছোট ছেলের বয়স চার বছর। নোবেল রাজধানীর গ্রীন রোডে নিজের একটি ফ্ল্যাটও লিখে দিয়েছিলেন স্ত্রীকে।

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় কেরানীগঞ্জ হযরতপুর ব্রিজের পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাত হিসেবে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হাসপাতালের মর্গে গিয়ে নিহতের ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর লাশ সনাক্ত করেন। ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘ বর্তমান ’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় তার অভিষেক হয় শিমুর। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও তার পরিচিতি ছিল শিল্পী সমাজে।রাইমা ইসলাম শিমু চলচ্চিত্র ও নাটকের ক্যারিয়ার দুই দশকেরও বেশি সময় পার করেছেন । তিনি বাংলাদেশের অনেক গুনী পরিচালকের সাথে কাজ করেছে । মরহুম চাষী নজরুল ইসলাম , পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু , এ জে রানা , শরিফুদ্দিন খান দ্বীপু , এনায়েত করিম , শবনম পারভীন ছাড়াও বহু গুনী লোকের সাথে কাজ করেছেন তিনি।