
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ৩৫৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে আড়াই হাজার। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৬ লাখ ৯ হাজার ৬৮৪ জনে।
একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৮৯৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে সাড়ে ৭ লাখের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭ হাজার ৫৬১ জনে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৩২০ জন এবং মারা গেছেন ১৬৭ জন। মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯০ হাজার ৮১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২৮ হাজার ৫১৪ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে, দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১২ হাজার ৩১৪ জন এবং মারা গেছেন ৮৪১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ১৭ লাখ ২৮ হাজার ৫৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৬২৩ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে, দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৮১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫৭ হাজার ২১২ জন।
এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৩৩ জনের।
এ ছাড়া, গত এক দিনে যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৮০৭ জন এবং মারা গেছেন ২৯৭ জন। মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৪ হাজার ৪৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৭ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ২৬৩ জন এবং মারা গেছেন ২৮৯ জন। একই সময়ে কলম্বিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ২৭ জন এবং মারা গেছেন ১৯৯ জন।
এ ছাড়া, জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৯০৩ জন এবং মারা গেছেন ১০৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৩ জন মারা গেছেন। একই সময়ের মধ্যে ইউক্রেনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৪৭৩ জন এবং মারা গেছেন ১৩৬ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৩২ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ লাখ ২ হাজার ৪৬৬ জন।
অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ২০৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ২২ হাজার ৯৭৯ জনের।
এদিকে, করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৯২ লাখ ১২ হাজার জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৪২২ জন।
এ ছাড়া, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে ১৮৪ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১১৪ জন, পোল্যান্ডে ১৯৩ জন, কানাডায় ১৩৩ জন, আর্জেন্টিনায় ১৩৪ জন এবং ভিয়েতনামে ১৫৩ মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৩৩১ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২ হাজার ৭২১ জনের।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।