যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া যেখানে এখনও মিলেমিশে কাজ করছে

Sunday, March 20th, 2022

ইউক্রেনে চলছে রুশ সামরিক অভিযান। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এই সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া ও পশ্চিমারা মুখোমুখি। বরাবরের মতোই পশ্চিমা বিশ্বের নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নেতৃত্বে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। পাল্টা পদক্ষেপ নিচ্ছে রাশিয়াও। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ক্রেমলিন।

তবে একই স্থানে বৈরী এই দুই দেশ এখনও একই সঙ্গে কাজ করছে। আর সে স্থানটি পৃথিবী পৃষ্ঠের অনেক বাইরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস)।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ তিন নভোচারী কমান্ডার ওলেগ আর্তিমেইভ, দেনিস মেতভেভ ও সার্জেই কোররাকোভ সাড়ে ছয় মাসের মিশনে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে শুক্রবার পৌঁছেছেন।

সব আশঙ্কার অবসান ঘটিয়ে এই ৩ রুশ নভোচারীকে মহাকাশ স্টেশনে উষ্ণ স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রের ৪ জন, রাশিয়ার ২ জন ও জার্মানির ১ নভোচারী। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর এই প্রথম কোনো রুশ মহাকাশচারী ক্যাপসুলে করে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে গেল।

এই ঘটনাটি এমন সময় ঘটল যখন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশচারী মার্ক ভেন্ডে হেই মহাকাশে অবস্থানের সব রেকর্ড ভেঙে ৩৫৫ দিন অবস্থান করে ৩০ মার্চ রাশিয়ার ক্যাপসুলে করে কাজাখস্তানে অবতরণ করা নিয়ে সংশয় চলছে।

যদিও রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন অবরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের প্রধান দিমিত্রি রোগোজিন সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে রকেট ইঞ্জিন সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।

শুধু তা-ই নয়, তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, রাশিয়ার সহযোগিতা ছাড়া আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ইউরোপ কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ভেঙে পড়বে।

তবে নাসার প্রশাসক বিল নেলসন খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না রোগোজিনের বক্তব্যকে। তিনি দাবি করেন, রাশিয়ার বেসামরিক মহাকাশ গবেষণায় কাজ করা ব্যক্তিরা খুবই পেশাদার, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তারা কখনোই হারাবে না।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ যৌথভাবে পরিচালনা করে আসছে।