
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আমির খান ও কারিনা কাপুর অভিনীত বলিউডের ব্লকবাস্টার ছবি ‘থ্রি ইডিয়টস’ -এর কথা মনে আছে তো? সেই ছবির এক দৃশ্যে ছিল, কারিনার অন্ত”সত্ত্বা বোনের অপারেশনের সময় কিছু হাতুড়ে পদ্ধতির ব্যবহার করছিলেন আমির খান ও তার দুই বন্ধু। অপারেশন করা হচ্ছিল ভিডিও কল দেখে।
তবে রুপালি পর্দার দৃশ্য বাস্তবের মাটিতে ঘটাতে গিয়ে ভারতের বিহারে ঘটে গেছে এক ভয়ংকর কাণ্ড। ঘটনার পরিণতিতে এক অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনা বিহারের পূর্ণিয়ায়। সেখানে ২২ বছরের অন্তঃসত্ত্বা মালতীর অপারেশন চলছিল পুর্নিয়া লাইন বাজার এলাকার এক হাসপাতালে। গত সোমবার তিনি প্রসব যন্ত্রণা অনুভব করায় তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সে সময় তার চিকিৎসক সীমা কুমারি ছিলেন শহরের বাইরে।
তারপরও ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতেন যে মালতীর চিকিৎসক সীমা কুমারী এলাকার বাইরে আছেন। তা সত্ত্বেও তাকে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসক সীমা কুমারীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
চিকিৎসক ওই অপারেশনের জন্য তাদের এগিয়ে যেতে বলেন। গোটা অপারেশনে মোবাইল ভিডিও ক্যামেরায় নির্দেশ দিতে থাকেন চিকিৎসক। সেই অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসকের জায়গায় ছিলেন নার্স। গোটা অপারেশন করেন তিনিই।
তখনই দুই যমজ সন্তানকে জন্ম দেন মালতী। বাচ্চারা দুজনেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। এরপরই বিগড়ে যেতে থাকে মালতীর স্বাস্থ্য। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যায়। দেখা যায়, অজান্তে মালতীর শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিরা কেটে ফেলেছেন নার্স। তাতেই মালতীর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের কাছে অভিযোগ যায় মৃতার পরিবারের। পুলিশ এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করছে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।