
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, আমলকী হলো ফলের রাজা। তাই প্রায়দিন এই ফল খেলে যে একাধিক রোগবিরেতের ফাঁদ এড়িয়ে যেতে পারবেন, তা তো বলাই বাহুল্য। সুতরাং সুস্থ-সবল থাকার ইচ্ছা থাকলে যত দ্রুত সম্ভব আমলকীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই ফল হলো একাধিক উপকারী ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। তাই দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। তবে বেশি উপকার পেতে চাইলে প্রতিদিন সকালে এই ফলের জুস করে খেতে হবে।
এই কাজটা করলেই ছোট-বড় রোগব্যাধির থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে পারবেন বলে দাবি করছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা। তাই অহেতুক সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব আমলকীর জুস পান করার একাধিক চমকে দেয়া উপকার সম্পর্কে জেনে নিন।
বাড়বে ইমিউনিটিও
আমাদের আশপাশে রয়েছে অসংখ্য ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া। মুশকিল হলো, একটু সুযোগ পেলেই কিন্তু এসব রোগ জীবাণু শরীরের উপর হামলা চালাতে পারে। তাই যেনতেন প্রকারেণ ইমিউনিটি বাড়িয়ে রাখাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আমলকীর জুস। আমলকীর জুসে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই একাধিক সংক্রামক রোগের ফাঁদ এড়াতে এই পানীয়ে চুমুক দিতে ভুলবেন না যেন!
লিভার থাকবে সুস্থ-সবল
শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো লিভার। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের ভুল খাদ্যভ্যাসের দরুন এই অঙ্গের গুরুতর ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি পিছু নিচ্ছে ফ্যাটি লিভার, লিভার সিরোসিস এবং লিভার ফাইব্রোসিসের মতো জটিল অসুখ। তাই সুস্থ থাকার ইচ্ছে থাকলে লিভারের হাল ফেরাতে হবে।
এই কাজে আপনার সহযোগী যোদ্ধা হতে পারে আমলকীর জুস। কারণ এই ফলে এমন কিছু অ্যন্টিঅক্সিডেন্ট মজুত রয়েছে, যা লিভার ফাংশন বাড়তে পারে। তাই ফেরাতে যকৃতের হাল, এই পানীয়ের গ্লাসে চুমুক দেয়া দরকার।
চাঙ্গা হবে হজমক্ষমতা
নিয়মিত গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো পেটের সমস্যায় ভুগতে হয় নাকি? তাহলে যে আগামীকাল থেকেই আমলকীর জুস গলায় ঢালতে হবে। এতেই আপনার পেটের হাল হকিকত বদলে যাবে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আমলকীতে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা পাকস্থলীর আলসার অসুখটিকে প্রতিরোধ করতে পারে। এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মেটানোর কাজেও এই পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার।
হার্টের বন্ধু আমলকীর জুস
নিয়মিত আমলকীর জুস পান করলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে। ফলে সুস্থ থাকবে হার্ট। এমনকি এড়ানো যাবে হার্ট অ্যাটাকের মতো মারণ রোগের ফাঁদ।
শুধু তাই নয়, হৃৎপিণ্ডের প্রদাহ প্রশমিত করার কাজেও আমলকীর জুসের জুড়ি মেলা মুশকিল। তাই তো হার্টের রোগে আক্রান্ত রোগী এবং যাদের বাড়িতে এই রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের নিয়মিত আমলকীর জুস পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
কিডনির স্বাস্থ্য ফিরবে
ডায়াবেটিস, হাই প্রেশারের মতো রোগের কারসাজিতে কিডনির বারোটা বাজতে সময় লাগবে না। তবে নিয়মিত আমলকীর জুস খেলে কিডনি সুস্থ-সবল থাকবে। এমনকি এই অঙ্গের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর হতেও সময় লাগবে না।
তাই তো কিডনির অসুখের ফাঁদ এড়াতে আমলকীর রসের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিন। এতেই ফল পাবেন হাতেনাতে।