বরিশাল সিটি মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা

Tuesday, September 19th, 2023

বরিশাল : বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শেখ মো. সোয়েব কবির নামের একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবং বাদীর পদে চাকরি পাওয়া নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের গোরস্থান রোড, ধোপা বাড়ির মোড় এলাকার মাওলানা সাইদুর রহমান কাশেমীর ছেলে ওবায়দুর রহমান।

মামলায় চুক্তির মেয়াদ শেষ না হতেই চাকরিচ্যুত না করে তার পদে ওবায়দুর রহমান নামের অপর একজনকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বাদী। এজন্য তিনি তার পদে যোগদানসহ বেতন-ভাতা প্রাপ্তির আবেদন জানিয়েছেন আদালতে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।

মামলার বাদী শেখ মো. সোয়েব কবির নগরীর ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোড এলাকার বাসিন্দা শেখ মো. শাহজাহান কবিরের ছেলে। তিনি বরিশাল সিটি করপোরেশনের চুক্তিভিত্তিক নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি থেকে তার বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৬ মার্চ সিটি করপোরেশনের এনেক্স ভবনে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রথম স্থান অধিকার করেন স্প্যেন কবির। এর প্রায় দুই মাসের মাথায় ২০২১ সালের ৯ মে শেখ তাকে নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার পদে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয়। ওই পদে যোগদানের পর থেকে ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়মিত বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই অজ্ঞাত কারণে শেখ মো. সোয়েব কবিরের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি তাকে চাকরিচ্যুত না করে তার পদে ওবায়দুর রহমানকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। কিন্তু এ নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি বিধিবিধান অনুসরণ এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়নি।

মামলার বাদী অভিযোগ করেছেন, তাকে চাকরি থেকে অব্যহতি প্রদানের পূর্বে নূন্যতম শোকজ এমনকি মৌখিক বক্তব্যও উপস্থাপনের সুযোগ দেননি বিবাদীরা। সবশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্য বিবাদীদের কার্যালয়ে গিয়ে বেতন-ভাতা প্রদান এবং অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ওবায়দুর রহমানের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানান। কিন্তু বিবাদীরা এ বিষয়ে কিছু করার নেই বলে তাকে জানিয়ে দেন। আর তাই উপায় না পেয়ে আদালতে মামলা করেন তিনি।

এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সচিব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাকসুদা আক্তার বলেন, আমি অসুস্থতার কারণে আজ অফিসে যেতে পারিনি। তাই মামলা সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না। তাছাড়া মামলার বাদীর অভিযোগের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন তিনি।